তরুণদেরকে এআই ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলালিংক
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২১
ঢাকা: তরুণদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্রতিযোগিতা ইনোভেটরস-এর সপ্তম আসরের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেছে বাংলালিংক। গত অক্টোবরে এ প্রতিযোগিতার সপ্তম আসর শুরু হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উৎসাহ দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকাশে সাহায্য করা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ছিল বুটক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলালিংকের বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। একাধিক ওয়ার্কশপ ও যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে সেরা পাঁচটি দলকে নির্বাচন করা হয়। সোমবার আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে সেরা পাঁচটি দল অভিজ্ঞ বিচারকদের সামনে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্ভাবনী ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সামি আহমেদ এবং বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা মনজুলা মোরশেদ।
বাংলালিংক ইনোভেটরস ৭.০ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল ‘অন দ্য এজ’। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে যথাক্রমে ‘টিম রকেট’ ও ‘ফোর অব আ কাইন্ড’। চ্যাম্পিয়ন দল বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওনের কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া সেরা তিন দলের সব সদস্য বাংলালিংকের ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে অংশ নেবে। এই প্রোগ্রাম তাদের ভবিষ্যতে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে।
সেরা পাঁচ দলের সব প্রতিযোগী বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বাস্তবসম্মত উপায়ে করপোরেট অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও সেরা ৪০ প্রতিযোগীর প্রত্যেকেই বাংলালিংকের ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলালিংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
‘ইনোভেটরস’-এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের নতুন মোটো ‘লিড দ্য ফিউচার’ ঘোষণা করা হয়, যা বাংলালিংকের নতুন ইমপ্লয়ি ভ্যালু প্রপোজিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রতিষ্ঠানটির অনুকরণীয় লক্ষ্য ও এর কর্মীদের ধারাবাহিক উন্নতিকে প্রতিফলিত করে।
ভিওনের গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের নেতৃত্বে থাকা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ইনোভেটরসের সপ্তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারার মতো চমৎকার কিছু পরিকল্পনা ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। আমি গর্বিত যে বাংলালিংক দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশীদার হিসেবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন।
বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা মনজুলা মোরশেদ বলেন, এই প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের একটি বিশেষ উদ্যোগ। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও এগিয়ে আসা উচিত, যেন তারা নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি দেশেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি প্রতিযোগীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা দেখে মুগ্ধ। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন সব সমাধান উপস্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর