নালার মাটি তোলার পর হেলে পড়েছে ৩ তলা ভবন
৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে তিনতলা একটি ভবন হেলে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাগোয়া একটি ড্রেনের চলমান সংস্কার কাজের কারণে ভবনটির ভিত দুর্বল হয়ে আরেকটি ভবনের দিকে সামান্য হেলে পড়েছে। ঝুঁকি এড়াতে ভবনের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।
ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর সরাইপাড়া এলাকায় যায়। এর আগেই দুই ভবনের মালিদের পক্ষ থেকে হেলে পড়ার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) জানানো হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারি পরিচালক আব্দুল মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে পাশাপাশি দুটি তিনতলা ভবন। একটি আরেকটির দিকে সামান্য হেলে পড়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। ভবনের একেবারে কাছেই একটি ড্রেন থেকে মাটি ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ চলছে। এটা অনেক বড় একটা ড্রেন। সব মাটি একসঙ্গে তুলে নেওয়ার কারণে ভবনের ভিত দুর্বল হয়ে গেছে। যদি খণ্ড খণ্ড অংশ করে মাটি তুলে নেওয়া হতো, তাহলে সমস্যা হতো না।’
‘তবে তিনতলা একটি ভবন ওপরের দিকে কিছুটা হেলে পড়লেও ধসের সম্ভাবনা নেই। এরপরও যেহেতু ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, আমরা আপাতত ওই ভবনের সব বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছি।’
হেলে পড়া ভবনের মালিক আমির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০০৬ সালে আমাদের বিল্ডিং নির্মাণ হয়েছে। আমরা এখানে থাকি না, ভাড়াটিয়া আছে। আমাদের বিল্ডিং এবং পাশের বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৬ ইঞ্চি গ্যাপ ছিল। এখন দেখছি সেটা একেবারে লেগে গেছে। যেহেতু আমরা ঝুঁকি অনুভব করছি, তাই ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। এখন ফায়ার সার্ভিস যেভাবে নির্দেশনা দেয়, সেভাবে কাজ হবে।’
পাশের ভবন মালিকের প্রতিনিধি উম্মে মারিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত (সোমবার) রাতেই আমরা বুঝতে পারি যে, পাশের বিল্ডিংটা একেবারে আমাদের বিল্ডিংয়ের সঙ্গে ঘেষে পড়েছে। রাতেই আমরা বিষয়টি সিডিএ, ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করি। এটার কারণে আমাদের বিল্ডিংও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় একটা ড্রেনের কাজ চলছে। যারা কাজ করেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভবনের মালিকপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস এবং আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে এখানে আছি। আমাদের মনে হচ্ছে, এখানে কিছুটা হলেও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ জন্য আমরা আপাতত বাসিন্দাদের সরে যাবার জন্য অনুরোধ করছি। টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে পরবর্তীতে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/ইআ