অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম, নিহত ১২
৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১০
অন্ধ্রপ্রদেশে স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এ কারণে প্রদেশে সরকার আট জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চিম বর্ধমান ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ও তার পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিস্বের) বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহওয়া অফিস।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আঘাত হেনেছে মিগজাউম। শেষ ৬ ঘণ্টায় সমুদ্রের উপর এর গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতোমধ্যে চেন্নাইয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে আটজন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। পানিতে ডুবে গেছে শহরের বহু এলাকা।
অন্ধ্রপ্রদেশের আট জেলায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। জেলাগুলো হলো— তিরুপতি, নেল্লোর, প্রকাশম, বাপাতলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কাকিনাড়া ও কোনাসীমা। উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে ঘোরাফেরায় বিধিনিষেধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। এছাড়া বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতর।
সারাবাংলা/এনএস