Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

থানার চোখে ধুলো, পিবিআইয়ের হাতে ধরা ছাত্রলীগ নেতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আইনজীবীকে কুপিয়ে জখমের মামলার প্রধান আসামি এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাকে পলাতক দেখিয়ে নগরীর আকবর শাহ থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। কিন্তু মামলার বাদী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামি নিজ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে পলাতক উল্লেখ করেছে।

আদালত পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার পর সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে নগরীর পাহাড়তলী চাউল বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নগরের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান।

গ্রেফতার কাউছার হামিদ (২৭) নগরীর আকবর শাহ থানার পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তিনি পিবিআইয়ের কাছে নিজেকে আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ১২ অক্টোবর রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার নবাববাড়ী হোটেলের বিপরীত গলিতে আইনজীবী জুয়েল চন্দ্র দাশকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় জুয়েলের স্ত্রী অ্যাডভোকেট পূজা দাশগুপ্তা বাদী হয়ে কাউছারকে প্রধান আসামি করে এবং আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) ইলিয়াস খান সারাবাংলাকে জানান, আকবর শাহ থানা অভিযান চালিয়ে কাউছার ছাড়া বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কাউছারকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্তু বাদী প্রধান আসামি পলাতক থাকায় আদালতে অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি আবেদন দাখিল করেন। আদালত ২ নভেম্বর এক আদেশে পিবিআইকে মামলা অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু হানিফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তভার পেয়ে আমরা ভিকটিম ও মামলার বাদীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত অবহিত হই। প্রধান আসামি কাউছার ও ভিকটিম একই এলাকার বাসিন্দা। কাউছারের বিরুদ্ধে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলা আছে। এসব মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ভিকটিম আইনজীবী জুয়েল। ভিকটিমের বক্তব্য হচ্ছে, কাউছার নিয়মিত মামলায় হাজিরা দেয় না। এজন্য বিরক্ত হলে মামলা পরিচালনায় অপারগতা জানালে সে ক্ষুব্ধ হয়। এরপর হামলার ঘটনা ঘটে।’

‘তদন্তভার পেয়ে আমরা কাউছারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউছার হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে। আমাদের কাছে এবং আদালতে সে নিজেকের ছাত্রলীগের আকবর শাহ থানা কমিটির সম্পাদক বলে দাবি করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতের নির্দেশে পাঁচদিনের রিমান্ডে এনেছি। রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই থাকুক, আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করব।’

প্রধান আসামিকে গ্রেফতার ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর সারাবাংলাকে বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের মামলায় সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগপত্র দায়েরের বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। এ সময়ের মধ্যে প্রধান আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার সম্ভব হয়নি।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর