জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ: ঢাবি উপাচার্য
৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭
ঢাকা: বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। এসব দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের পাশে এগিয়ে আসে। গত বছর সিলেটে বড় বন্যা হয়েছিল। সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যেসব ক্ষতি হচ্ছে সেসব পূরণে স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ (ভিএসও) বাংলাদেশের আয়োজনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খবিরুল হক কামাল। অতিথি ছিলেন ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হারিস ওথমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপউপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, আইএলও বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার এ কে এম মাসুমুল আলম ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) হামিদ খান, জি আই জেড বাংলাদেশের হামিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্যরা।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, মানুষের জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই হলো বড় স্বেচ্ছাসেবিতা। স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে যুবকদের জন্য ভবিষ্যতে সুন্দর একটি দেশ প্রস্তুত করে রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী কাজের মধ্যেমে দেশকে পরিবর্তন করতে হবে। অতীতে স্বেচ্ছাসেবীররা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছেন। তারা মানুষকে রক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন।
ভিএসও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০ হাজার ভিএসও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ভবিষ্যতে সুন্দর দেশ গড়তে হলে স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সব স্বেচ্ছাসেবক একত্রে কাজ করতে পারলে দেশকে একটি সমৃদ্ধির জায়গায় নেওয়া সম্ভব। যারা স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছেন, আমরা সবসময় তাদের প্রতি ইতিবাচকভাবে অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করি।
ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হারিস ওথমান বলেন, সবাই স্বেচ্ছাসেবী হতে পারে না। স্বেচ্ছাসেবী হতে হলে উদার মানসিকতার হতে হয়। এই সেমিনার স্বেচ্ছাসেবীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাজ করার জন্য ভিএসও বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।
যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক হামিদ খান বলেন, পৃথিবীর যত ভালো কাজ হয়েছে তার পেছনে স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যত উন্নয়ন আছে সেখানেও স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা আছে। তরুণদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসার জন্য সরকারও কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস-২০২৩ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত জলবায়ু পরিবতন বিষয়ক দুটি বিষয়ে আলোচনায় আলোচকরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এবং আমন্ত্রিত তরুণদের প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে তাদের অনন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ ভিওএস বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী