আচরণবিধি লঙ্ঘন: রেজাউল-লতিফকে তলব
৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এ লতিফকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধানী কমিটি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ৩য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান আরার আদালত এ নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এ লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সশরীরে বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
এর আগে, গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় লিখিত অভিযোগ করেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর হোন্দলপারা এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আনোয়ারুল করিম।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ১১ সংসদীয় এলাকার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনি প্রচারণার জন্য যান। নির্ধারিত সময়ের আগে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফকে সঙ্গে নিয়ে তার জন্য তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান ও উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনি প্রচারণার কাজে যুক্ত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যা শনিবার (২ ডিসেম্বর) দৈনিক আজাদী,পূর্বকোণ, পূর্বদেশ ও চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকায়‘ এম এ লতিফের পক্ষে মতবিনিময় সভায় মেয়র’ শিরোনামে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে একটি লাভজনক পদে থেকে পুলিশ প্রটোকলসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রার্থী এম এ লতিফ সুস্পষ্টভাবে উভয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম