Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাইপিং ভুল থাকায় শ্রম আইন ফেরত, আবার যাবে সংসদে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫১

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইনের সংশোধনী খসড়ায় টাইপিংয়ে এমন ত্রুটি হয়েছে। এমন ত্রুটি হয়েছে যে এতে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। যে কারণে এতে রাষ্ট্রপতি আইনটিতে স্বাক্ষর না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই এমনটি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর যখন নতুন সংসদ বসবে, তখন সেই ত্রুটি সংশোধন করা হবে।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কথা হচ্ছে, শ্রম আইনটা যখন সংসদে পাস হয়, পাস করার আগে এটি যখন সংসদে যায়, তখন একটি ত্রুটি ছিল। দেখা গেছে, এটি অন্য কোনো ত্রুটি না, এটি টাইপিংয়ের ত্রুটি। সেটি হচ্ছে, এক জায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে। সেটি একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪ এর (১) হওয়ার কথা ছিল, সেটি সে রকম না হয়ে অন্যরকম হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদ অধিবেশনে। সে কারণে এ ভুলটি পরে ধরা পড়েছে। যে কারণে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়ে যেতে পারে, সে জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।’

তখন আইন অনুসারে বিলটিতে সই না করে বার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জনান আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে। এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদ অধিবেশনে যেতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

আইনটি কী দ্বাদশ সংসদে আবার উঠবে, নাকি মন্ত্রিসভায় পুনর্বিবেচনা করা হবে, প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনটি এখন সংসদে আছে। যে ত্রুটিটা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের সময় ত্রুটিটি সঠিক ছিল, ভুলটা পরে হয়েছে। যে কারণে এটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। যে কারণে নতুন সংসদে সংশোধনী হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা করে দেওয়া আছে। বলা আছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে, অথবা তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয়মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটি ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রুটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রুটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।’

সারাবাংলা/জেআর/একে

আইনমন্ত্রী টপ নিউজ শ্রম আইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর