গাইবান্ধা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অভিনব উপায়ে তৈরি মাস্টারকার্ডের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত করে জালিয়াতি করার অভিযোগে মূলহোতাসহ ৩৫ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৩)। এর মধ্যে ৩০ পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৩০ পরীক্ষার্থীকে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২২টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ১৯ টি ব্লুটুথ ডিভাইস ও ১৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের সহকারী পরিচালক আরও বলেন, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব ডিভাইস সরবরাহকারী মূলহোতা পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরীক্ষার্থীরা জানায়, বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জালিয়াত চক্রের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কেউ চার লাখে, আবার কেউ ৬ বা ৭ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। এরমধ্যে ৫০ ভাগ টাকা আগে দিতে হয়েছে এবং বাকি টাকা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল।
আটক হওয়া ৩৫ জনের মধ্যে কেউ কেউ বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক রয়েছেন। এদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছেন বলে জানায় র্যাব। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হবে।