Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুয়াডাঙ্গায় জমজমাট পোষা পাখির হাট

রিফাত রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১১

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশি-বিদেশি পোষা পাখি ও কবুতরের হাট। শহরের মাথাভাঙ্গা নদীসংলগ্ন এই হাটে নানা প্রজাতির রং-বেরঙয়ের পাখি দেখা যায়। বিভিন্ন জাতের শখের পোষা পাখি ও কবুতরের সাপ্তাহিক হাটটি বসছে প্রত্যেক শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।

‘ঝুঁকি কম-লাভ বেশি, শখের বসে কবুতর পুষি’ এমন স্লোগান নিয়ে সৌখিন পাখি পালনকারীদের বাণিজ্যিক খামার করতে উৎসাহিত করার জন্যই এ হাট চালু করা হয়েছে। যা পাখি ও কবুতর খামারিরা নিজ উদ্যোগে বসিয়েছেন। সাদা, কালো, ধূসর, বাদামী, লাল পাখিদের নামও নানা রকম। কোনো কোনো পাখি দেশি আবার কোনোটি বিদেশি।

ককটেল, বাজরিকা, জাভা, লাভবার্ড, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু আর নানা জাতের কবুতর, কাকাতুয়ার দেখা মিলছে এ হাটে। পাওয়া যাচ্ছে বিদেশি জাতের খরগোশও।

জেলার ৪০ জন খামারি একত্রিত হয়ে বিভিন্ন জাতের পোষা কবুতর ও দেশী-বিদেশি পাখি নিয়ে এ হাট বসিয়েছেন। এখানে পাশের ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার খামারি এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে। ন্যায্য দামে পশু-পাখি পাওয়া যাওয়ায় দিন দিন এ হাটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

এই হাটে দেশি কবুতর ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, লাক্কা বা ময়ূরী ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বাচ্চা ২৫০ টাকা, বোম্বায় ১ হাজার টাকা, রেছার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, কালদোম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিরাজী ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মূক্ষী ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গ্রিভাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশী ঘুঘু ৪০০ টাকা, অফ্রিকার ঘুঘু ৭০০ টাকা, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু ৪০০ টাকা, তিতি মুরগির বাচ্চা ৪০০ টাকা, বাজরিকা পাখি ৩০০ টাকা, কোয়েল ২০০ টাকা, দেশি-বিদেশি খরগোশের বাচ্চা ৪০০ ও বয়স্ক ১ হাজার টাকা, ছাগলা খরগোশ ৬০০ টাকা জোড়ায় বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার খামারি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কবুতর কেনার উদ্দেশে এ হাটে এসেছি। এখান থেকে ২০ থেকে ৩০টি কবুতর কেনার টার্গেট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৬টি কবুতর কেনা হয়েছে। বাড়িতে একটি কবুতরের খামার রয়েছে, সেখানে এসব কবুতর ছেড়ে দেব। এছাড়া যারা কবুতর পোষে তাদের কাছে বিক্রি করব।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা হাজরাহাটীর ব্যবসায়ী সোনা মিয়া জানান, দাম কম হওয়ায় এই হাটে বেশি ক্রেতা পাওয়া যায়। এখানে কবুতরসহ নানা জাতের পাখি বিক্রি হয়ে থাকে।

হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, হাটে স্বল্প দামে দেশি কবুতর, লাক্কা বা ময়ূরী, কালদোম ও সিরাজীসহ দেশি-বিদেশি কবুতর পাওয়া যায়। কোয়েল পাখি, ঘুঘু ও নানা জাতের খরগোশ এই হাটে পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দর ব্যবস্থাপনায় থাকায় এই হাট প্রশংসনীয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুঁইয়া বলেন, ‘অস্থায়ী হাটকে স্থায়ীভাবে বসানোর জন্য খামারিদের নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পাখি বিক্রি যে একটা শিল্প, তা গড়ে উঠুক। এছাড়াও পাখি পালনে যুব সমাজ আকৃষ্ট হলে তারাও মাদক থেকে অনেক দূরে থাকবে। অন্যদিকে এ ধরনের খামার তৈরি করে তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ মশিউর রহমান বলেন, ‘শহরের বড় বাজার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে স্বল্প পরিসরে পোষা পাখির হাট বসছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এ হাট ভূমিকা রাখবে। আমরা প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করবো।’

সারাবাংলা/এমও

কবুতরের হাট চুয়াডাঙ্গা পোষা পাখি পোষা প্রাণির হাট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কুষ্টিয়া থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৮

সম্পর্কিত খবর