প্রতীক বরাদ্দের আগেই নৌকার পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৮
রাজশাহী: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। এর আগে থেকে রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকার পোস্টার ও লিফলেট ছাপিয়ে বিতরণ করছেন। লিফলেট বিতরণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও তানোর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ভাতাভোগীদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুতফুর হায়দার রশিদ ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও তানোর সরকারি আবদুল করিম সরকার কলেজের প্রভাষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার এসব সভায় উপস্থিত থাকছেন।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির পক্ষে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব সভাতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীও কৌশলে অনেক সময় উপস্থিত থাকছেন বলেও জানা গেছে। প্রতীক ঘোষণার আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ওমর ফারুক চৌধুরীর পোস্টার, লিফলেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পাচন্দর ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিনসহ নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের লিফলেট নিয়ে উঠান বৈঠক ও প্রচারণা চালিয়েছেন। পাচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাব্বি আল আমিন তার ফেসবুকে পোস্টও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি দলের প্রার্থী বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। তিনি এবং তার অনুসারীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর তিনি ভোট চাইতে পারতেন। কিন্তু এসব তিনি কিছুই করছেন না।
পাচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাব্বি আল আমিন ছবিগুলো ২০১৮ সালে তোলা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনের ছবি। শনিবার সকালে পোস্ট করেছি। যদি সমস্যা হয় তাহলে রিমুভ করে দেব।’
পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, ‘শুক্রবার আমি সারাদিন রাজশাহীতে ছিলাম। এ ধরনের কোনো কিছুই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ ছবিতে আপনাকে দেখা গেছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা হলেও নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া হচ্ছে না। আর আমি রাজশাহীর বাইরে অবস্থান করছি। তাই এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজশাহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করায় এর আগে ওমর ফারুক চৌধুরীকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আবার ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/এমই/এনএস