৪০ আসনে সমঝোতা না হলে সরে দাঁড়াতে পারে জাপা!
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৭
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামতে সরকারি দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। জাতীয় পার্টি চায় ৪০টি আসন; এবং এই দাবিতে তারা অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ জাপাকে ২০/২৫টি আসনে ছাড় দিতে চায়। কিন্তু জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ৪০ আসন থেকে ছাড় দিতে নারাজ। এর ব্যত্যয় হলে প্রয়োজনে জাপা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে— দলের প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের তিনি এমন অভাস দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আসন সমঝোতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে জাপা। বৈঠকে জাপার পক্ষ থেকে সমঝোতার আসন থেকে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শর্ত দেওয়া হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমারা গত পরশু বৈঠক করেছি। আমাদের কথা জানিয়ে দিয়ে আসছি। এখন তারা প্রয়োজনে আমাদের ডাকবে; না ডাকলে না ডাকবে। আমরা এবার ৩০০ আসনেই খেলতে চাই। নির্বাচনের পরিবেশ চাই।’
তবে জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দ্বাদশ নির্বাচনের প্রার্থী নাম গোপন রাখার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে জাতীয় পার্টির কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় এসেছিল। এরপর ২০০৯ থেকে একটানা তিন বার জাপার উপর ভর করে ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে এবারের নির্বাচনের বৈধতার জন্যও জাতীয় পার্টিকে প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই সময় চাহিদা অনুযায়ী আসন সমঝোতা হয়নি। বেগম রওশন এরশাদ সে সময় আওয়ামী লীগকে রক্ষা করেছেন। এবার রওশন এরশাদ নেই। ওই সময় এরশাদ সাহেব নানা জটিলতা মোকাবিলা করে রাজনীতি করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কোনো জটিলতা নেই। এ কারণেই তিনি তার অবস্থানে অটল রয়েছেন।’
জাপার অপর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম গোপনর রাখার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘দিন ফুরিয়ে এলে মানুষের ছায়া বড় হয়। পরে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে। ১৭ তারিখের পর বোঝা যাবে ছায়া বড় হচ্ছে, না নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। তাই ১৭ তারিখেই জাপা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ এর মধ্যে রাজনীতি ও ভোটের পরিবেশ পরির্বতন হলে জাপাও নতুন কৌশল নিয়ে সামনে এগোবে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম