গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৮
ঢাকা: মুন্সীগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের চার জন দগ্ধের ঘটনায় সাহিদা খাতুন (৬০) মারা গেছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা.তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডা. তরিকুল বলেন, ‘সাহিদা খাতুনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে রিজভী (৩৫) ১০ শতাংশ, রাইয়ান (৩) ৮ শতাংশ ও রোজিনা (৩৩) ১২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তাদের সবারই মুখমন্ডল ও শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।’
এর আগে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন চার জন। দগ্ধ রিজভী আহমেদ জানান, তারা চলতি মাসের ১ তারিখে মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশেই একটি ভবনের পাঁচ তলায় ভাড়া নেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার। আর তার স্ত্রী গৃহিণী।
রিজভী আরও জানান, রাতে তার স্ত্রী রোজিনা একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। তার বাবা রজব আলী ভোরে ফজরের নামাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। মা সাহিদা খাতুন ভোরে রান্নার জন্য ওঠেন। তখন রান্নাঘরে গ্যাসর চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আগুনে তার মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। আর ঘুমন্ত অবস্থায় তারাও দগ্ধ হন।
রিজভীর বাবা রজব আলী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়েছিলেন। হাঁটাহাঁটি শেষে বাসার ফেরার সময় শুনতে পান, বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। সেখানেই সাহিদা খাতুনের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম