ব্যারিস্টার মইনুলের মৃত্যু: বিরতির পর বসবে না আপিল বিভাগ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৪
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিরতির পর বসবে না আপিল বিভাগ। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্ত জানান।
এদিন সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মইনুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি উপস্থাপন করেন সমিতির সাবেক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির সাবেক সভাপতির মৃত্যুতে এর আগে এ প্রতিষ্ঠান সম্মান দেখিয়েছে। সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল মতিন খসরুসহ সাবেক সভাপতিদের মৃত্যুতে এ প্রতিষ্ঠান সম্মান দেখিয়েছে। সাবেক সভাপতি মইনুল হোসেন মারা গেছেন, যদি সুযোগ হয় সম্মান দেখাবেন।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল বিভাগ ১১টার পর বসবেন না। হাইকোর্ট বিভাগের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’ দ্বিতীয়ার্ধে চেম্বার আদালতও বসবেন না বলে বেলা ১১টার দিকে জানান প্রধান বিচারপতি।
ফলে সকাল ৯টা থেকে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে মাঝে বেলা ১১টা থেকে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে মারা যান। মইনুল হোসেনের দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পলে আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বাংলাদেশ’র সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ’র সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে ২০০০-২০০১ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও