‘দেশে ইলেকশন নয়, সিলেকশন হচ্ছে’
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপির ডাকে চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এলেন দলটির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে হাজির হয়ে তিনি বলেছেন, দেশে ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন হচ্ছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে কয়েকজন নিখোঁজ বিএনপি নেতার পরিবারের সদস্যও অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার এক তরফা প্রহসনের নির্বাচন করার আত্মঘাতি খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, গণভবনের দিকে ছুটছেন। শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি দেখে মনে হচ্ছে, এটা কোনো ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুটিকয়েক উচ্ছিষ্টভোগী ও দল থেকে বিতাড়িত কিছু জনধিকৃতকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। দলটি এখন লোক ভাগাভাগির দলে পরিণত হয়েছে। দেশ ও জাতিকে এই অপশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনের নামে সরকার যা করছে, তা বেআইনি সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু নয়। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী ভাগবাটোয়ারার পাতানো নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবে না। মানুষ এই একতরফা নির্বাচন বর্জন করবে।’
দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মামলা দিয়ে রাজনীতিবিদদের দমন করা যায় না। এতে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বিএনপি ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করছে। বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তার পরিবর্তন হবেই। ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সেই পরিবর্তন আনবে।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, জেলা ড্যাবের সভাপতি তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি জানে আলম সেলিম বক্তব্য দেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কার্যত পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষের মধ্যে হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ নিয়ে মামলা-গ্রেফতার ও বিএনপির ডাকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ চলে আসছে। মহাসমাবেশের পর থেকে গত দেড় মাস শাহাদাতকে চট্টগ্রামে কোনো কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। কেন্দ্রের নির্দেশে কৌশল হিসেবে শাহাদাত নিজেকে আড়ালে রেখেছেন, এমনটিই বলে আসছিলেন দলটির নেতারা।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম