Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজবাড়ী কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুরের পাওনার আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৩

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত মিজানুরের বকেয়া বেতন, ভাতা ও বোনাস বাবদ পাওনা ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বরাবরে করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, রাজবাড়ী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বকেয়া বেতন, ভাতা ও বোনাস বাবদ পাওনা বাবদ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা পরিশোধের দাবিতে তিনি গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি (রিট পিটিশন নম্বর: ১৫০১৫/২০২৩) দায়ের করেন।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রথমে ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই গর্ভনিং বডির কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হন। ওই বরখাস্তের আদেশ গত ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর রাজশাহীর আপিল ও আরবিট্রেশন কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। পরবর্তী সময়ে মিজানুর ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করলে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে। ওই আদেশ আপিল বিভাগ পর্যন্ত বহাল থাকে।

আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা হলেও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত হিসাবে জমা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাস বাবদ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা তার ব্যক্তিগত হিসাবে জমা করার জন্য নাচোলের সোনালী ব্যাংক বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাসের টাকা মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত হিসাবে জমা করেনি। এরপর প্রতিকার চেয়ে মিজানুর রহমান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

অধ্যক্ষ কলেজ শিক্ষক পাওনা রাজবাড়ী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর