পাগলা মসজিদের দানবাক্স: প্রথমবার সংগ্রহ ছাড়াল ৬ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৩
কিশোরগঞ্জ: তিন মাস ২০ দিনের বিরতির পর ফের খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। এবার এসব দানবাক্স থেকে পাওয়া গেছে ২৩ বস্তা টাকা। দিনব্যাপী গণনা শেষে এসব বস্তায় মিলেছে ছয় কোটি টাকার বেশি, যা এখন পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া টাকার অঙ্কে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এগুলোতে থাকা টাকা গণনা করতে প্রায় ২০০ জনের একটি দলের সময় লেগে যায় গভীর রাত পর্যন্ত।
গণনা শেষে দেখা যায়, এবারই প্রথম পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া গেছে ছয় কোটি টাকার বেশি। এবারে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। সেই সঙ্গে মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা। এর আগে কখনোই এই মসজিদের দানবাক্সে এত টাকা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৩ বস্তা টাকা
এর আগে সর্বশেষ পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয় এ বছরের ১৯ আগস্ট। তখন ২৩ বস্তা টাকা গণনা শেষে পাওয়া গিয়েছিল পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। সঙ্গে ছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গহনা ও হীরা। সেবারও টাকার অঙ্কে রেকর্ড হয়েছিল। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।
গত আগস্টেও অবশ্য পাগলা মসজিদে দানবাক্স ছিল আটটি। দানের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকায় ওই সময় দানের টাকা গণনা শেষে দানবাক্স একটি বাড়িয়ে ৯টি করা হয়। সে হিসাবে গতকালই প্রথম ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে।
টাকা গণনার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট মহুয়া মোমতাজ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৬০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর