Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রুল খারিজ, সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতিতে বাধা নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫১

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি নীতিমালা ২০২২ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। তাকে সহযোগিতা করেন বিভূতি তরফদার। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টকে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। খারিজ করে সেই রুল নিষ্পত্তি করা হলো।

সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে যান আবেদনকারীরা। গত ১৫ অক্টোবর মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

আইনজীবীরা জানান, মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সম্প্রতি পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করে সোনালী ব্যাংক। এই পদোন্নতির প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন সোনালী ব্যাংকের ফার্মগেট আওলাদ হোসেন মার্কেট ব্রাঞ্চের প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আক্কাস আলীসহ ৭৯ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

তার আগে চলতি বছরের নীতিমালা কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা।

সোনালী ব্যাংকের চাকরি প্রবিধানমালা ২০১৯ অনুযায়ী, ‘পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা, কর্মদক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতাকে গুরুত্ব দেওয়া হইবে’ এবং ‘কেবল জ্যেষ্ঠতার কারণে কোনো কর্মচারী অধিকার হিসেবে তাহার পদায়ন বা পদোন্নতি দাবি করিতে পারিবেন না’ উল্লেখ রয়েছে।

এই নীতিমালার আলোকে বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে একই পদে তিন বছর হলেই তিনি পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার দেওয়ার যোগ্য হন। সেখান থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, কর্মক্ষেত্রে বিশেষ কাজ, ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সার্বিক বিবেচনায় কারও অবস্থান দুর্বল হলে তিনি জ্যেষ্ঠ হলেও পদোন্নতি পান না। এতে সব পর্যায়ে ভালো কাজ করার একধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে।

তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদোন্নতির জন্য নতুন নীতিমালা অনুমোদন করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী অফিসার থেকে ডিজিএম পর্যন্ত পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণের বেশি হলে প্রণীত জ্যেষ্ঠ তালিকা থেকে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ তিনজন সাক্ষাৎকারের জন্য বিবেচিত হবেন। এতে ১০০টি শূন্য পদের বিপরীতে কেবল জ্যেষ্ঠ ৩০০ কর্মকর্তা ডাক পাবেন। এর বাইরে বেশি যোগ্য হলেও তাদের পদোন্নতির জন্য ডাকা হবে না।

বিজ্ঞাপন

মেধা ও যোগ্যতাকে এগিয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে সোনালী ব্যাংকের নতুন এই পদোন্নতি নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সোনালী ব্যাংকের ফার্মগেট আওলাদ হোসেন মার্কেট শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আক্কাস আলীসহ ৭৯ কর্মকর্তা এ রিট দায়ের করেন। পরে পদোন্নতির প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন তারা।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

পদোন্নতি নিয়ে রিট পদোন্নতি নীতিমালা রিট খারিজ সোনালী ব্যাংক সোনালী ব্যাংকে পদোন্নতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর