Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০০

ঢাকা: সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী— সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন,  ‘কিছু দিন আগে এক বিচারপতি বলেছেন- দেশটাকে জাহান্নামের পরিণত করা হয়েছে। গত দেড় দশক ধরে সেই ‘জাহান্নামপরিস্থিতি’ সব দিক দিয়ে স্পষ্ট। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী— সবাই আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এই অবৈধ সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে কবরস্থ করেছে, মাটি চাপা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে এরা বিশ্বাস করে না। এরা নির্বাচন নিয়ে তামাশা করে। এদের অধীনে কখনও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

তিনি বলেন,  ‘বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আর এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কেবল মাত্র একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন, তার অধীনেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের মন্ত্রী নেতা-কর্মীরা এত কথা বলেন, কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে তারা এত বিচলিত হয় কেন? তারা অস্থির হয়ে যান, এক ভীতির মধ্যে পড়ে যান। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হবে, এই ভয় থেকেই তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী ব্যবহার করে, প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করে— এ বিষয়টি প্রতিদিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন এক উপনিবেশ শাসনের অধীনে রয়েছি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে। গ্যারান্টি হচ্ছে তারা সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। সেই সমস্ত দেশ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। কয়েকটি দেশ রয়েছে, তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি; যেটা আবহমানকাল থেকে চলমান, সেটার ধার ধরে না।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘এখানে একটা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে। সেটা বজায় রাখতে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে হবে আর সেই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করেছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। সেই জন্য শেখ হাসিনা কাউকে তোয়াক্কা করছে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকল কী না থাকল, সেটা নিয়ে তিনি মাথা ঘামাচ্ছেন না।’

তিনি বলেন, ‘যারা এ দেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তারা এদেশের জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করে না। এটা করে না বলেই বাংলাদেশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু অনেক দেশ বাংলাদেশের জনগণের ভালো-মন্দ এবং গণতন্ত্র চায়।’

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছে। কীসের উন্নয়ন করেছে? আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য বৃদ্ধি করেছে যাতে বিরোধী দল দমন করা যায়। কোথাও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির চিন্তা করলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে, এরকম পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার দেশের সকল জনগণকে পশুর ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে। গোটা দেশকে পশুর খোয়াড়ে পরিণত করতে চাচ্ছে। এই অন্যায় অবিচার জুলুম আর কতদিন চলবে। আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং নানা পেশার মানুষ সরকারের এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে হলে গণতন্ত্রের আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে।’

তিনি জানান,গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার ২৫৫ জনের অধীক নেতাকর্মী, মোট মামলা সাতটি, মোট আসামি ৮৭০ জনের অধীক। আহত হয়েছে বিএনপির ৩৫ জনের অধীক নেতা-কর্মী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে রুখে দিল নিউক্যাসেল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৮

সম্পর্কিত খবর