১৭তম নিবন্ধনে লিখিত উত্তীর্ণ ৫ প্রার্থীর ভাইভা নিতে রুল
১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪১
ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রাথমিক বাছাই এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাঁচ পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে রিটকারী পাঁচ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে অন্যান্য পরীক্ষার্থীর ন্যায় কেন তাদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনসিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফারজুল ইসলাম ফাহিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ফারজুল ইসলাম ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাঁচ প্রার্থী আবেদন করেন। তারা মাদ্রাসার ইসলামী স্টাডিজ বিষয়ের শিক্ষক পদে (সহকারী মৌলভী) আবেদন করেন। তবে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে ইসলামী স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) উত্তীর্ণদের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়। ওই পদে শুধুমাত্র মাদরাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়।’
এদিকে ওই পাঁচ প্রার্থী ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী জারি করা বিজ্ঞপ্তিমূলে ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
এরপর চলতি বছর ওই পাঁচ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ওই পাঁচ প্রার্থী এনটিআরসিএ বরাবর বারবার আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
পরে তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নম্বর: ১৬১৩৫/২০২৩) দায়ের করেন। রিটকারী পাঁচ জন হলেন- দিনাজপুরের সাদিক আল ওয়াদ, লালমনিরহাটের আবু সালেহ মো. হেলাল, ঠাকুরগাঁওয়ের মো. আমানুল্লাহ, কুষ্টিয়ার ইব্রাহিম হোসেন এবং রাজশাহীর মো. রফিকুল ইসলাম। আজ সেই রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম