আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:২৭
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনের আইএমএফ-এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক বাংলাদেশের জন্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি আজ আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে। এই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ ।
মঙ্গলবার ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। এই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮২ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। শিগগিরই এই অর্থ বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, আইএমএফ মোট ৪৭০ কোটি বা ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭টি কিস্তিতে এ অর্থ বিতরণ করবে সংস্থাটি। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে অর্থমন্ত্রী ঋণ চেয়ে আইএমএফ-এর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের দীর্ঘ পর্যালোচনার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করা হয়। শুরুতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
ঋণের প্রথম কিস্তির দেওয়ার সময় বেশ কিছু শর্ত দেয় আইএমএফ। এগুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ব্যাংক ঋণে সুদ হারের ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী প্রকাশ, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, শেয়ারবাজারের উন্নয়নসহ বেশকিছু আর্থিক ও নীতি সংস্কারে মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বাংলাদেশকে।
তবে দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদনের আগে বাংলাদেশ সফর করে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল। তাদের দেওয়া শর্তগুলো অগ্রগতি পর্যালোচনা করে দলটি। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আগে আইএমএফ-এর দেওয়া বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করলেও দুটি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি হলো, নিট রিজার্ভ এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়নে রাখা। অন্যটি হলো, রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। তবে আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে এ দুটি শর্ত পূরণ না হওয়ার যৌক্তিক কারণ বুঝাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড় দিয়েছে সংস্থাটি।
সারাবাংলা/জিএস/আইই