৫১ ভাগ নারী সাইবার ক্রাইমের শিকার
২০ মে ২০১৮ ১৪:২৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশের ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের ৫১ ভাগই সাইবার ক্রাইমের শিকার বলে জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ)। তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৭৪ ভাগ মানুষই কোনো না কোনোভাবে সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন।
রোববার (২০ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সিসিএ ফাউন্ডেশন তাদের এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মাঠ পর্যায়ের ১৩৩ জন ভুক্তভোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার ক্রাইমের শিকার নারীরা দেশের প্রচলিত আইনের সুবিধাও পান না। তবে একটু সচেতন হলেই এসব সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক আবুল মনসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিন। এ সময় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এ কে এম নজরুল হায়দার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান।
অনুষ্ঠানে আবুল মনসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিন বলেন, ‘দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তি সেবার গ্রহীতার সংখ্যা। তবে অসচেতনতার ফলে তাদের অনেকে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন, কেউ কেউ সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। এ থেকে বাঁচতে জনসচেতনার বিকল্প নেই।’
সরকারি গবেষণার বরাত দিয়ে সারফ উদ্দিন বলেন, ‘স্কুলের নবম-দশম শ্রেণির মেয়েরা সাইবার অপরাধের শিকার হয় বেশি। এজন্য সরকার সম্প্রতি ৪০টি বিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সাইবার সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
ঢাবি শিক্ষক রাশেদা রওনক খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েরাও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মেয়ের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। অথচ একটু সচেতন হলে এসব ঝুঁকি এড়িয়ে প্রযুক্তি সেবা নেওয়া যায়।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিএসএ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ; স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান।
সারাবাংলা/এমএস/টিআর