খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক বুধবার
১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:৫৬
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার পৌনে ২টায় শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে মামলার বিচারক ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদার আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন।
এর আগে দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে আদালতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর কিছুক্ষণ পর বকশীবাজার মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে অংশ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কৌসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, এতিমদের নামে সৌদি আরব থেকে তহবিল আনা হয়েছিল। শত-সহস্র এতিমখানা থাকা সত্ত্বেও সেই তহবিল নামসর্বস্ব জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে রাখা হয়।
‘পরবর্তী ১৩ বছর এ ট্রাস্টের কোনো কার্যক্রম ছিল না’ বলেন দুদকের এই আইনজীবী।
খালেদা জিয়া ছাড়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সারাবাংলা/এআই/একে