চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:২২
চুয়াডাঙ্গা: শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। সারা দিন হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে শীতের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।
এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র আকারের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। জীবন জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে তাদের রুটি-রুজির সন্ধানে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে।
রিকশাচালক শুক্কুর আলী বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, এই ঠাণ্ডায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। শীতে মনে হয় হাত-পা জমে যায়। কিছুদিন পর তো আরও বেশি শীত পড়বে তখন যে কিভাবে চালাব ভাবতেছি। শীতের দাপটে রিকশার যাত্রীও কমে গেছে।
দিনমজুর সালাম মিয়া বলেন, এত ঠাণ্ডার মধ্যে কাজে যাওয়া খুব কষ্ট। তবুও যেতে হয় কি করবো না হলেতো চলবে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য মতে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ১৭ হাজার ৬৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ কম্বল গুলো বিতরণের জন্য সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি , আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬ হাজার ৫৬৫টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি বরাদ্দ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ