Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রকল্পে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে চসিক কার্যালয়ে দুদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৫ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে নগরীতে সড়ক বাতি লাগানোর একটি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদকের সহকারি পরিচালক এনামুল হক।

অভিযানে ওই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ঝুলন কুমার দাশের সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলে দলটি। পরে দলটি চসিকের আরও কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

অভিযান শেষে দুদকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নথিপত্রে দেখা গেছে অসমাঞ্জস্য। এমনকি ২০১৯ সালে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, সেটার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় দরপত্রে কারা সবোর্চ্চ দরদাতা ছিল সেটার কোনো কাগজপত্র নেই।

দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকা কতৃর্ক লাইটিং এবং বৈদ্যুতিক পুলের একটি প্রজেক্ট ছিল। এটা নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ ছিল। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে দুদক চট্টগ্রাম—১ থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা দেখেছি ২০১৯ সালে ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল।’

‘পরে সেটা বাতিল হয়ে ২০২০ সালে রিটেন্ডার করা হয়। ওই রিটেন্ডারে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে ২০১৯ সালে টেন্ডারের কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেনি। আর যাদের কে বাদ দেওয়া হলো কি কারণে বাদ দেওয়া হলো সেটা দেখাতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইজিপিতে যেহেতু টেন্ডার হয়েছে, সেহেতু ইজিপিতে প্রধান প্রকৌশলীর আইডিতে ঢুকেও কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র কেন নাই—এটার কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। দ্বিতীয়বার যে টেন্ডার হয়েছে সেখানে যে প্রতিষ্ঠান লোয়েস্ট (সর্বনিম্ম দরদাতা) তার কাগজ পত্র আছে।’

বিজ্ঞাপন

দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, ‘ববাকিদের কাগজপত্র নাই। যে অসাঞ্জস্যতা দেখা গেছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/আইসি/ইআ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর