Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশুদের অংশগ্রহণে বধ্যভূমিতে ‘গণহত্যার প্রতিকৃতি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১৫

ঢাকা:  রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার বীভৎসতা তুলে ধরতে প্রতি বছরের মতো এবারও ‘গণহত্যার প্রতিকৃতি’ তুলে ধরেছে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ কর্মসূচি পালন করে আসছে ১৯৫২ সালের ২ মে যাত্রা শুরু হওয়া সংগঠন খেলাঘর।

এর আগে, রাত ১২টা এক মিনিটে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ভোরে স্মৃতিসৌধের মূল বেদীর পাশে গণহত্যার প্রতিকৃতি তৈরি করে সংগঠনের শিশুরা।
অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সকালের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রয়াস থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের সূর্য সন্তানদের বিভিন্ন জায়গা থকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যার পর এখানে ফেলে রাখে। তাদের এই বর্বরোচিত ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি বেশি জানাতে হবে। এরমধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশপ্রেমিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।’

বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, আবদুল মতিন ভূঁইয়া, গোবিন্দ বাগচী, আসমা আব্বাসি উর্মি প্রমুখ।

দেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে ওঠে। দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিহাসের জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধে মেতে ওঠে তারা।

বিজ্ঞাপন

দেশের সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যার পর রায়ের বাজার এলাকায় ফেলে রাখে। কারও লাশ শনাক্ত হয়, চেহারা বিকৃত হওয়ায় অনেকের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

কেন্দ্রীয় খেলাঘর গণহত্যা বধ্যভূমি রায়েরবাজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর