নারায়ণ চন্দ্রের কমেছে আয়, বেড়েছে সম্পদ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৭
খুলনা: জেলার দুই উপজেলা ফুলতলা আর ডুমুরিয়া নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। এটি দেশের ১০৩তম সংসদীয় আসন। এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য দিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি এম এ পাশ। কৃষি ও ইট ভাটার ব্যবসাকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামায় দেখা গেছে, ২০১৮ তার বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। ২০১৮ সালে তার সম্পদ ছিল ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার। পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকায়। প্রতি বছর কৃষি খাত থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ইট ভাটার ব্যবসা থেকে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা হিসেবে ৬ লাখ ৬০ হাজার আয় করেন তিনি।
বর্তমানে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সম্পদের মধ্যে তার কাছে নগদ ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৫৫ লাখ টাকা, ৪ দশমিক ১৭ একর কৃষি জমি, কিছু অকৃষি জমি, একটি দালান ও একটি সেমিপাকা ভবন রয়েছে। ব্যাংকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
গত ১৫ বছর ধরে আসনটিতে সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান। পরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তিনি এই আসনের সংসদ সদস্য। এর মধ্যে ২০১৪-২০১৭ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
আসনটিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আক্তার ও জাকের পার্টির সামাদ শেখের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৫ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৯ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৭০ জন।
সারাবাংলা/আরআইটি/এনএস