৬ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৮৫ জন
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলে শুনানিতে শেষ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২২ জন। একই সঙ্গে এদিন ৬২ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর হয়েছে। দিনশেষে মোট নিস্পত্তি হয়েছে ৮৪ জন প্রার্থীর আপিল আবেদন। এ নিয়ে গত ছয়দিনের আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৮৫ জন। একই সময়ে ২৭৫ জন প্রার্থীর আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আর ৫৬০জন প্রার্থীর আপিল নিস্পত্তি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আপিল শুনানির ৬ষ্ঠদিন শেষে নির্বাচন কমিশন জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, ৬ষ্ঠ দিনে ৮৪ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ৬২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়, ২২ জনে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান। আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, ৩২ জনের নামঞ্জুর হয়। মোট নিস্পত্তি হয় ৮৮ জন। দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান ৫১ জন, নামঞ্জুর হয়েছে ৪১ জনের। দ্বিতয়ি দিন নিস্পত্তি করা হয় ৯২ টি আপিল আবেদন। তৃতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পায় ৬৪ জন, বাতিল হয়েছে ৩৫ জনের। ওইদিন মোট নিস্পত্তি হয় ৯৯ জনের আপিল।
অন্যদিকে চতুর্থ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৪৮ জন, বাতিল হয়েছে ৫৩ জনের। আর আপিল নিস্পত্তি করা হয়েছে ১০১ জনের । পঞ্চম দিনে ৯৬ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি নিস্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৪৪ জন। প্রার্থিতা বাতিল বহাল রয়েছে ৫২ জনের। ফলে গত ৬ দিনে মোট আপিল শুনানি হয় ৫৬০ জন প্রার্থীর। এর মধ্যে আপিল শেষে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন ২৮৫ জন এবং প্রার্থীতা বাতিল বহাল থাকে ২৭৫ জনের।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। গত ছয়দিনে আপিল আবেদনগুলোর শুনানি সম্পন্ন করল ইসি। তবে ইসির রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসাবে গত ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে চার ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা যাচাই বাছাই শেষে এক হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।
পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিল শুরু হয়ে চলে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি চলে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
সারাবাংলা/জিএস/একে