Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভোটের পর সরকার ৫ দিনও টিকবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৫

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী দেশকে ভালোবাসলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। এবার আর জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। নির্বাচনের পর সরকার ৫ দিনও টিকবে না। ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না।

‘জনগণের শক্তির কাছে কামান-বুলেট কিছুই টেকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. মঈন খান বলেন, ‘দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই। রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার। ৫২ বছর আগে দেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল তার মূলে ছিল গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু আজ এ দুইটির কোনোটিই নেই।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের সংকটের সমাধান করতে হবে। সরকার মুখে যা বলে কাজে তা করে না। কাজে যা করে মুখে তা বলে না। তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তবে এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হলে পায়ের মাটি কখন সরে যায় টের পাওয়া যায় না।’

ড. মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসককে মানেনি। যার প্রমাণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। সেদিন কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে।’

বিজ্ঞাপন

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার কি ভোট করছে? এটি তো বানরের পিঠা ভাগাভাগির মতো। ল্যাংড়া কানা খোড়া নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করছে সরকার। তারা নিজেরা নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে জটলা পাকিয়ে দেখাবে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে! আসলে এটি তো কোনো নির্বাচন নয়। আজকে আওয়ামী লীগের জোট-মহাজোটের নেতাদের আসন ভাগাভাগি দেখলেই বোঝা যায় ওটা বানরের পিঠা ভাগাভাগি। এভাবে সরকার নির্বাচনের নামে নাটক-সিনেমা করবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে যেতেই হবে জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। বিএনপি কিন্তু দেশে জনতার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। যা সারাদেশে দেখা গেছে। এবার বিজয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে সারা ঢাকা কেঁপে উঠবে। রাজপথের কঠোর আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। যা বিশ্বের দেশে দেশে এমনটি হয়েছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী যতই অত্যাচার করুক আমরা আমাদের জায়গা ছাড়ব না। কেননা, রাজনৈতিকভাবে এই সরকার পচে গেছে।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএমএমের সাবেক সভাপতি একেএম আজিজুল হক, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের ডা. এম এ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. শহীদ হাসান, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. জাহানারা লাইজু প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

আওয়ামী লীগ বিএনপি ভোট মঈন খান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর