Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৪

ঢাকা: টানা ৪৭ দিন পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় ধরনের শো-ডাউন করার সুযোগ পেয়ে ফের সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিজয় র‌্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ ডাক দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্রের। সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিজয় দিবসকে আজ পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে সরকার। পাকিস্তানের ২২ পরিবার আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাকে কুক্ষিগত করে লুটপাটের দেশে পরিণত করেছিল পাকিস্তানকে। আমরা চেয়েছিলাম সেই ২২ পরিবারের পরিবর্তে এমন একটি স্বাধীন বাংলাদেশ, যেখানে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে।’

‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকার কী করেছে? তারা ২২ পরিবারের পরিবর্তে ২২০টি ধনী পরিবার দিয়ে একটি অলিগার্কি সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুণ্ঠন করছে। আসুন, আজকে আমরা শপথ গ্রহণ করি- যারা বাংলাদেশকে লুটপাট করছে, যারা স্বাধীনতাকামী মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার হরণ করেছে, যারা মামলা-হামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে জেলে ভেতরে আটকিয়ে রেখেছে, সেই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামি’— বলেন ড. মঈন খান।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, নেতাদের দণ্ডিত করা হচ্ছে। এসব কেন করা হচ্ছে? নির্বাচন নামে একটি খেলা করার জন্য। কীসের নির্বাচন? কোনো বিরোধী দল আজকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। যারা নির্বাচনি খেলায় যোগ দিয়েছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের পা ছুঁয়ে সালাম করে, তার দোয়া নিয়ে নির্বাচনে নামছে। সবাই জানছে, পত্র পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে কোন দল কয়টা আসন পাবে, কারা কোন এলাকা থেকে নির্বাচন করবে। এটা ভাবতে পারেন, এটা কি কোনো নির্বাচন, এটা কি কোনো ভোট?

তিনি বলেন, ‘এই ডামি নির্বাচনের জন্য এই শীতের দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ লোককে নিয়োগ দেওয়া হল। কী কষ্ট করবেন তারা, কেন ভাই? যেভাবে নির্বাচন সাজানো হচ্ছে তাতে তো সবাই জেনেই যাচ্ছে যে কোন আসনে কে নির্বাচিত হবেন। এটা ঘোষণা করে দিলেই হয়। এজন্য নির্বাচনি খেলার কী দরকার?’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে, যে দেশের মানুষ ভূমিহীন, কর্মহীন, সেখানে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নির্বাচন করার কী অর্থ থাকতে পারে। এই অপব্যয়ের কোনো প্রয়োজন আছে? ঘোষণা করে দিলেই হয় ওমুক এলাকায় ওমুক এমপি, মিটে গেল।’

তিনি বলেন, ‘এই রসিকতার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করি নাই, এই নির্বাচন নির্বাচন খেলার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। আমরা চাই, বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর সেই গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জনগণ যাকে পছন্দ করবে তারা নির্বাচিত হবে, তারা সরকার গঠন করবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। আজকে সেই নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই করছি। এই লড়াই চলবে যতদিন না জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।’

র‌্যালিতে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, আফরোজা খানম রীতা, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উ্ন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, সেলিম রেজা হাবিব, রেহানা আক্তার রানু, সৈয়দা আসিফা আশরাফী, নেওয়াজ হালিমা আরলি, রাশেদা বেগম হীরা, তাইফুল ইসলাম টিপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, হায়দার আলী লেলিন, রফিক শিকদার,নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিরুজ্জামান শিমুল, মোরতাজুল করীম বাদরু, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, তারিকুল আলম তেনজিং, খোন্দকার আকবর হোসেন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ বিএনপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর