প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেলেন ড. আনোয়ারুল ইসলাম
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২৫
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২২ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এটি ১২তম আয়োজন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে জমকালো এক অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুসহ অনেকে।
শিক্ষাবিদ ও বন্যপ্রাণী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের জন্ম ১৯৫৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলায়। তিনি ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কেশবচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিসাওয়ার স্কুল অব ট্যাক্সিডার্মি থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরির শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৬ সালে প্রখ্যাত পাখিবিজ্ঞানী ড. সালীম আলীর অধীনে পাখি নিয়ে গবেষণা করে বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর বর্তমানে বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডটিম- এর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘বিজয়ের ৫২ বছরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুকে হারিয়েছি। এত ত্যাগের মাধ্যমে পাওয়া দেশটিকে আমাদের ভালো রাখার কথা। ৫২ বছরে অনেকটি এগিয়েছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। একাত্তরের মতো সব হাত এক হলে আমাদের পক্ষে কাজটি সহজ হবে। আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে প্রকৃতি যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমরা কেউই ভালো থাকব না। পরিবেশকে ঠিক না রেখে করা কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না।’
পুরস্কার পেয়ে ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই সম্মাননা পেয়ে তিনি অনেক আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছেন। এটি তার কাজের অনুপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে দেবে।’
সারাবাংলা/আরএফ/একে