হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫১
ঢাকা: গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
এর আগে, ১৪ ডিসেম্বর রুল শুনানির আজকের দিন (১৭ ডিসেম্বর) ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
তারও আগে গত ৭ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের জন্য রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কায়সার, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও সগির হোসেন লিওন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম রাফেল।
এর আগে, সোমবার ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ