বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই অসাধারণ: মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৬ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৪
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে আফরিন আক্তার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা অবিশ্বাস্য যে, গত ৫২ বছরে বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে।
তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি সফরে তিনি বাংলাদেশি জনগণের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তার কথা মনে করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, এসব গুণ বাংলাদেশের মুক্তির পথ দেখিয়েছে এবং এই গুণগুলোই বাংলাদেশকে তার যাত্রাপথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
দূতাবাসে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে দেন আফরিন আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সম্পৃক্ততার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে পরে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রী এবং কর্মচারীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় বাংলাদেশি শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে দলগত নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা, মার্কিন সরকারের কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইই