ভোটের মাঠে ২৭ দলের ১৫১৭ প্রার্থী, স্বতন্ত্র ৩৯৮
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৪
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৯১৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই, প্রত্যাহার এবং আদালতে আপিল শেষে এসব প্রার্থী বৈধ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৯৮ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৯ জন। আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলো ১৫১ জন।
অন্যদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন আরও ১ হাজার ৫১৭ জন প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকা এক হাজার ৮৯৫ জনের সঙ্গে উচ্চ আদালত থেকে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার ২০ জনের তথ্য সংযোজন করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে গিয়ে ইসি থেকে বাতিল হওয়া আরও ২০ জন প্রার্থী আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এতে ইসি থেকে বৈধ হওয়া এক হাজার ৮৯৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে আরও ২০ প্রার্থী যোগ হওয়ায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১৫ জন।
আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ২০ প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে ইসিতে বৈধ হওয়া ৩৮২ প্রার্থীর সঙ্গে এই ১৬ জন প্রার্থী যোগ হওয়ায় মোট স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৮ জন। এছাড়া আদালত থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাসদ ও তৃণমূল বিএনপি’র ১ জন করে প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে এসব দল থেকে প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫১৬ জন এবং স্বতন্ত্র ৩৯৮ জন।
এসব প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে এরশাদের জাতীয় পার্টির। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দলটির মোট ২৬৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন ২৬৪ জন প্রার্থী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দলের কত জন প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি ২৬৫ জন, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, দলটির প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৪ জন।
এছাড়া তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী রয়েছে ১৩৩ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৫ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৭৯ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৪ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ৬৩ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৪ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ৪৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪২ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৯ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩৮ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩৭ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৯ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ২৬ জন, গণফ্রন্টের ২১ জন, জাকের পার্টির ২১ জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৬ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন।
এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ১১ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন, গণফোরামের ৯ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ৫ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৫ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪ জন ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম এল) ৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিবন্ধিত ২৭টি দল ভোটে যাচ্ছে, ১২টি যাচ্ছে না, ৫টি দোদুল্যমান
সারাবাংলা/জিএস/এমও