আওয়ামী লীগের শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০৭
ঢাকা: প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তার কোনো সুযোগ থাকল না।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শাম্মী আহমেদের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।
আদালতে শাম্মীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে, (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ।
গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শাম্মী আহমেদ।
এর আগে, শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন। শুনানি শেষে শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিল হলেও বহাল থাকে পঙ্কজ দেবনাথের।
শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন পঙ্কজ দেবনাথ। আর পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিলেন শাম্মী আহমেদ।
এরপর নির্বাচন কমিশন শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্যাবলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। যা সোমবার খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ