যমজ ছেলের মৃত্যু, মেয়ে লড়ছে— মা চুরি করলেন আরেক নবজাতককে!
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: যমজ ছেলে-মেয়ে জন্ম দিয়েছিলেন নাসিমা। জন্মের পরই ছেলে মারা যায়। নবজাতক মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। অসুস্থ সেই বাচ্চাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে নাসিমা আরেক মায়ের নবজাতক নিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ দিন বয়সী ওই নবজাতককে উদ্ধারের পাশাপাশি নাসিমা ও তার মাকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেয়ে রাতে ফেনী জেলার পরশুরাম থেকে নাসিমা ও তার মাকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার নাসিমা আক্তার (২৩) ও খারু আক্তার (৪২) ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে থাকা প্রসূতি আসমা উল হুসনার পাঁচ দিন বয়সী বাচ্চা চুরি হয়েছিল। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আবু মো. নোমানের স্ত্রী। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুর কাছে ছিলেন না কোনো অভিভাবক।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যমজ ছেলে-মেয়ের জন্ম দেন নাসিমা। জন্মের পর থেকেই শিশু দুটির শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালের নিওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়। সেখানেই এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। অন্যজনের অবস্থাও ভালো ছিল না।’
‘নাসিমা প্রথমবার সন্তান প্রসব করেছিলেন। বিষয়টি তার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে তার মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে এনআইসিউতে নিজের অসুস্থ বাচ্চাকে রেখে ৩১ নম্বর বেডে থাকা আরেক নবজাতককে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নবজাতকটি উদ্ধার করতে পুলিশ অভিযানে নামে,’— বলেন ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা তাদের শনাক্ত করি। এরপর চমেক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তাদের ট্রেস করি। মোবাইল নম্বরের লোকেশন দেখায় ফেনীর পরশুরাম। পাঁচলাইশ থানার পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেছে। নবজাতকটি কন্যা শিশু। বুধবার সকালে নবজাতকটিকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার নার্গিসের কন্যা শিশুর অবস্থাও ভালো না।’
সারাবাংলা/আইসি/এনএস