‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী’
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩৫
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের ভোটারদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি গোলাম দস্তগীর গাজী অক্ষরে অক্ষরে পালন করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তার ছেলে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। আর সে কারণেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও রূপগঞ্জের ভোটাররা আওয়ামী লীগ প্রার্থী দস্তগীর গাজীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গাজী গোলাম মূর্তজা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের শুধু একটা কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ১৯৭০ সালের ভোটের সাড়ে সাত কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় আস্থা রেখে ভোট দিয়েছিলেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে একসঙ্গে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে পরে।
তিনি বলেন, নৌকা মার্কা শুধু একটি প্রতীক নয়, এটি আমাদের সমাজের উন্নয়ন, সম্প্রীতি, সমৃদ্ধিরও প্রতীক। ভবিষ্যত উন্নয়নের নিশ্চয়তার প্রতীকও আমাদের এই নৌকা।
এই আসনে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন। গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, ২০০৮ সালের আগে এই মুড়াপাড়া ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা কী ছিল, তা আপনারা জানেন। সেই সময় যারা দায়িত্বে ছিল, তারা কী করেছে তাও এখানে উপস্থিত সবাই বলছে। কিন্তু গোলাম দস্তগীর গাজী আপনাদের উন্নয়ন ছাড়া কিছু ভাবেন নাই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উনি আপনাদের জন্য কাজ করে গেছেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী প্রতিশ্রুতি রেখেছেন উল্লেখ করে পাপ্পা গাজী বলেন, যে মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখে, তাকে কেউ ফিরিয়ে দেবে না বলেই বিশ্বাস আমাদের সবার। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছিলেন, মুড়াপাড়ায় ফেরিঘাট থাকবে না। আমি অবাক হয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম, সেটি কীভাবে সম্ভব! আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি নিজের পায়ের জুতা ক্ষয় করে মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রণালয়ে ঘুরে সেতুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা তা নিজের চোখে দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, মুড়াপাড়ার স্কুল-কলেজ সরকারি করার জন্য তিনি যেভাবে খেটেছেন, তা আপনারা অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু গাজী সেতু থেকে শুরু করে প্রতিটি এলাকায় যে পাকা সড়ক হয়েছে, তার জন্য উনার শ্রমটা অনেকেই দেখেননি। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিনের পর দিন তিনি অনুরোধ করেছেন রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য। যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
গাজী গোলাম মূর্তজা বলেন, ভোট একজন ভোটারের পবিত্র আমানত। এটি আবেগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত না। সেই ভোট তাই আপনারা বিবেচনা করে দেবেন। তবে এমন কাউকে দেবেন কি না তা ভেবে দেখবেন, যারা নিজেদের বর্ষীয়ান বলতে বলতে বরশি হারিয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার মা ও বাবা প্রতিটি দিন আপনাদের জন্য কাজ করে গেছেন। কারণ আপনারা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের সেই ঋণ কখনো শোধ করার মতো নয়। আপনারা ভোট দিয়ে আস্থা রেখেছেন বলে তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রতিটি দিন আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর এলাকাবাসীর প্রতি টানের কথা উল্লেখ করে তার ছেলে বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর উনি পারতেন মন্ত্রিপাড়ায় থাকতে। কিন্তু তিনি আপনাদের সঙ্গে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। তাই রূপসীতেই থেকেছেন। এমন কোনো বৃহস্পতিবার, শুক্রবার বা শনিবার নেই যখন গাজী সাহেব আপনাদের পাশে থাকার জন্য এলাকায় থাকেননি। তিনি সবসময় আপনাদের সঙ্গেই ছিলেন। উনি বাসায় থাকলেও আপনাদের অপেক্ষায় থাকেন। রূপগঞ্জের যে কেউ যেকোনো সময় উনার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
গাজী গোলাম মূর্তজা বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু সম্পর্ক আছে যা রক্তের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কিছু বন্ধন আছে, যা অন্তরে বেঁধে রাখার চেয়েও বেশি মজবুত। এখন অনেকেই অনেক কিছু বলবে। এখন নির্বাচন আসার পরে অনেকেই আত্মীয়তা, রক্তের টান, প্রতিবেশীর বন্ধনসহ নানা রকম আবেগ দেখিয়ে নানা আবদার নিয়ে আসবে। শুধু তাদের বলবেন, যখন আপনাদের পাশে ছিল গাজী, তখন তারা কোথায় ছিল?
তিনি আরও বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী গত ১৫ বছর আপনাদের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি পরিশ্রম করেছেন। পরিশ্রমের হক বা পারিশ্রমিক পাওয়া সবার অধিকার। আমি আপনাদের কাছে আমার বাবার সেই পারিশ্রমিকটা চাই। রূপগঞ্জের জনগণ এলাকার উন্নয়নের কাজ চলমান রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজীকে আবার বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গাজী গোলাম মূর্তজা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ-১ পাপ্পা গাজী