নাশকতার ৩ মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১২১ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৪
ঢাকা: নাশকতার পৃথক তিন মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১২১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেপ আদালত এ রায় দেন।
তুরাগ থানার মামলা: পাঁচ বছর আগে তুরাগ থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদীর আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রশিদ, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মোজাম্মেল, নুরুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন মনু, হালিম, বারী হুজুর, শাহ আলম, বাদশা, নেছার আহাম্মেদ টুটুল, আবু বক্কা সিদ্দিক, বশির, আমির, কবির হোসেন, খলিলুর রহমান, জলিল মিয়া, সরোয়ার হোসেন, মোঃ দুলাল মিয়াসহ অন্যরা।
এক ধারায় তাদের ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরেকটি ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম করাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আসামিদের আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশতার অভিযোগে রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
রামপুরা থানার মামলা: পাঁচ বছর আগে রাজধানীর রামপুরা থানার দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, লোকমান খান, জহিরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন, আহসান হাবিব, হাফেজ আব্দুল কাইউম ভাই, ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মিজানুর রহমান গালিব ওরফে গালিব হাসান ওরফে চৌধুরী ইভান, আজিজুল্লাহ ভূঁইয়া, সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বংশাল থানার মামলা: ২০১৩ সালে ১০ ববছর আগে রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৬১ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ১৫ জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-মোহন তাইজুদ্দিন অরফে লম্বা তাইজু , শাহাজাহান,মাসুম ওরফে মাওয়া, ডলার ইকবাল, ইয়াকুব সরকার, হাজী মোঃ আদিল, মীর মোহাম্মাদ আলীসহ প্রমুখ।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৬ জন খালাস পেয়েছেন।
২০১৩ সালে নভেম্বর মাসে বেআইনি সমাবেশ, হত্যার চেষ্টা, নাশকতার অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/এএসকে/একে