টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে দগ্ধ: ‘রবিনহুডের’ একজনের মৃত্যু
২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৩
ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ তাশফিয়ান আতিফ (২২) মারা গেছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রবিনহুড- দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটি’র সদস্য ছিলেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আতিফকে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হলে সেখানেই মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
এরআগে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ইনসাফ বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ হন আতিফ (২২), রুপক (২০) ও শফিকুর রহমান (২৮)।
‘রবিনহুড- দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটি’র প্রধান আফজাল খান জানান, তাদের অফিস খিলগাঁওয়ে। তারা বিপদে পড়া পশুপাখি উদ্ধারের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে খবর পান, হাসনাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ঘুড়ির সুতায় একটি টিয়া পাখি আটকে আছে। এরপর তাদের ৫-৬ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে যান পাখিটি উদ্ধারে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে উঠেন উদ্ধারকারীরা। আতিফ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পাখিটি উদ্ধার করতে যায়। তবে লাঠিটি বিদ্যুতের তারে লাগার সাথে সাথে তারে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে তিনজন বিদ্যুতায়িত হন। দ্রুত তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শফিকের ৮ শতাংশ ও রুপকের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এবং আতিফের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আতিফের বাবা মো. নাজমুল হোসেন জানান, তাদের বাসা লালবাগে। ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সে। পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজে যুক্ত ছিল আতিফ।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনইউ