ভোটাররা যেন ভয়ভীতি ছাড়া স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে: জাতিসংঘ
২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৮
ঢাকা: ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ আগের অবস্থানেই আছে। সংস্থাটির অবস্থান হলো, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, যেখানে মানুষ কোনো ধরণের ভয়ভীতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘ সদর দফতরে ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বিরোধীদের জেলে রেখে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে কারা হেফাজতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহলে কি আপনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন? নাকি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে মহাসচিব ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন?’
সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে, জাতিসংঘের কোনো উদ্যোগের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন স্টিফেন ডুজারিক। তিনি আবারও অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি আগেও আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আপনি যেমন আমার উত্তরের অংশটি পূর্বনির্ধারিত করেছেন, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানাই, যেখানে লোকেরা কোনো ধরণের ভয়ভীতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। স্পষ্টতই, নির্বাচনের পরে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে, তবে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
অপর এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আমার উদ্বেগ যাত্রীভর্তি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো এবং ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগকারীদের দেওয়া আগুনেএকজন নারী ও তিন বছরের এক শিশুসহ চারজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আপনি কি রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রাক-সাধারণ নির্বাচনের সময় এই ধরনের অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন?’
জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সকলের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি মনে করি এ ঘটনার তদন্ত করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’
সারাবাংলা/আইই