পঞ্চগড়ে হাড়কাঁপানো শীত
২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২৩
পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয় পর্বত কাছেই হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও তার প্রকোপ পড়েছে জেলায়। সপ্তাহ জুড়েই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে জেলায়। গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক টানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে বইছে হিমশীতল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও নামছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিনদিন ধরেই এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, এক সপ্তাহ জুড়ে গত বৃহস্পতিবার ৯.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১০.০১ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ৯.৫ ডিগ্রি, সোমবার ৯.৭ ডিগ্রি, রোববার ১০ ডিগ্রি, শনিবার ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৯ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
চা শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই, তবে কনকনে শীত। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। একই কথা জানায়, নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা।
হাড়কাঁপানো শীতের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগী বাড়ছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এমও