Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন উন্মুক্ত, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৯

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ইলেকশন আমরা এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তার কারণ, আমরা চাই জনগণ অংশগ্রহণ করুক। শান্তিমতো তারা ভোট দিক। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। আমি চাই, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হোক। জনগণের যে ভোটের অধিকার সেটা তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করুক।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়ালি ৬ জেলার নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রান্ত থেকে ৬টি জেলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আজ খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৫ জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে ইলেকশন; এই ইলেকশনটা আমরা এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তার কারণ আমরা চাই জনগণ অংশগ্রহণ করুক। শান্তিমতো ভোট দিক। আমরা কয়েকজনকে প্রার্থী করেছি তারপরও আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সকলে জনগণের কাছে যাবেন। ভোট চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। আমি চাই নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হোক এবং জনগণের যে ভোটের অধিকার সেটি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারুক।’

গণতন্ত্রটাকে আমরা সুরক্ষিত করতে চাই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে, বিধি ব্যবস্থা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। তার প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে একবারেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। যখন আমি ২০০১ সালে আমাদের ৫ বছর শেষ করে জুলাই মাসে শেষ করি। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তর করি। এরপর বাংলাদেশে কোনোদিন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

‘২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আজকে দেশ বদলে গেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।’

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে গিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এরপর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাই এটা ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের রাস্তাঘাট ধ্বংস করা, সরকারি স্থাপনাসহ রেললাইন ধ্বংস করার চিত্র তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেগুলো আবার মেরামত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন আবার তাদের ভয়ংকর রূপ।’

‘আমি সবাইকে বলব যে, যারা আগুন দিয়ে পোড়ায়, অগ্নিসন্ত্রাসী; বিএনপি কি কোনো রাজনৈতিক দল? এটি একটি সন্ত্রাসী দল। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল। এই যুদ্ধাপরাধী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশকে মুক্তি রাখতে হবে। আর তার কারণ হচ্ছে তাহলে দেশে তাহলে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে। আর উন্নয়নের ধারাটা যখনি অব্যাহত থাকবে যখন নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার মন মতো প্রার্থী বেছে নেবে এবং গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে’ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার আবেদন থাকবে সবার কাছে; এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারাটাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, ধরে রাখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারি সেই ভাবেই আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে হবে।’

এরইমধ্যে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব সেই ঘোষণা দিয়েছি। কাজেই আমাদের এই বাংলাদেশে প্রতিটি জনগণকে আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় সুশিক্ষিত করব। স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে, স্মার্ট সরকার হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে, আমাদের সমাজব্যবস্থা স্মার্ট হবে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলব। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো; এটিই আমাদের লক্ষ্য বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। সন্ত্রাসী দল বিএনপি আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে এ-দেশ কোনদিনেই নিরাপদ নয়। কারণ এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। কাজেই এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন রাখার অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট জেলার আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনি এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর