Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭ জানুয়ারি ‘কুত্তা তাড়ানোর’ কাজে ব্যস্ত থাকবে আওয়ামী লীগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪

ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই তামাশার নির্বাচনে দেশের ছোট-বড় প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি; জনগণও অংশগ্রহণ করবে না। তারা (জনগণ) মনে করে, ৭ জানুয়ারি সারা দেশের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ‘কুত্তা তাড়ানোর’ কাজে ব্যস্ত থাকবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ফকিরাপুল মোড়, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় অসহযোগের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আন্দোলনের মুখে হারিয়ে যাবে। এবার দাদাবাবু-কাকাবাবুদের নীল নকশা কাজে আসবে না। জনগণের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যে কোনো সময় সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।’

দেশবাসীকে ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকার আবার ক্ষমতায় এলে জনগণ না খেয়ে মারা যাবে এবং দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।’

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে। জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুব দ্রুত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে। আওয়ামী লীগ আগুন নিয়ে যখন খেলছে। জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে এর কঠিন জবাব দেবে।’

তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ভোট বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন প্রাণী বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। তারা বুঝে ফেলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রগুলোতে মানুষ নয়, ঘোড়া-গাধা-কুকুর ও ব্যাঙ যাবে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ‘কুত্তা তাড়ানোর’ কাজে ব্যাস্ত থাকবে আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।’

গণসংসযোগকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রনক, ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা অধ্যক্ষ আবদুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটু, এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, ফরিদ আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামি ঐক্য জোটের ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু ইউসুফ, লায়ন ওমর রাজি, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

১২ দলীয় জোট ৭ জানুয়ারির ভোট আওয়ামী লীগ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর