Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬ বছর একই পরিষদে চলছে শেকৃবি শিক্ষক সমিতি

শেকৃবি প্রতিনিধি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪৭

শেকৃবি: অর্ধযুগ ধরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কোনো নির্বাচন হয়নি। ছয় বছর ধরে একই পরিষদ দিয়ে চলছে সমিতি। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে জোরালো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না সংগঠনটি।

শেকৃবি শিক্ষক সমিতি দুই প্যানেলে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দল ও বিএনপি সমর্থিত সাদা দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নীল দল ও সাদা দল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্যানেল নির্বাচিত হন। গত ছয় বছর ধরে নীল দলের শিক্ষকদের নেতৃত্বে চলছে কমিটি। নতুন নির্বাচনের বিষয়ে তাদের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এ বিষয়ে বার বার উপাচার্যের কাছে দাবি জানানোর পরেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের সমিতির বর্তমান কমিটির নির্বাচন ২০১৭ সালে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে নীল দলে জয় পায়। এরপর থেকে প্যানেলের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সভাপতি ও মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কমিটির স্থবিরতা ও শিক্ষকদের দাবি দাওয়া ধারাবাহিকভাবে আদায়ে ব্যর্থতার কারণে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।

সাদা দলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নাহিদ জেবা বলেন, ‘শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করার জন্যই শিক্ষক সমিতি গঠিত। শিক্ষক নিয়োগ, বাসা-বাড়িসংশ্লিষ্ট, প্রমোশন, পিএইচডি’র সময় বৃদ্ধি, শিক্ষকদের জাতীয় মর্যাদা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার দায়িত্বও সমিতির।’

তিনি বলেন, ‘বাসা-বাড়ি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি মেইনটেইন করার কথা থাকলেও অনেক সময় স্বজনপ্রীতির কারণে সিনিয়র শিক্ষকরা বঞ্চিত হন। বর্তমান কমিটি থেকে হয় না কোনো সাধারণ মিটিং।’

ড. নাহিদ জেবা আরও বলেন, ‘বর্তমান কমিটি আসার পরেও সাদা দলের তিনবার নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে থাকা নীল দলের এক বারও হয়নি। বর্তমান কমিটি সাধারণ সভা করে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। বর্তমানে নিয়োগ ও প্রমোশনের ব্যাপারে শিক্ষকেরা কিছু বলতে পারছেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে সংবিধান অনুসারে চারজন শিক্ষক প্রতিনিধি থাকার কথা, কিন্তু গত ছয় বছর ধরে সিন্ডিকেটে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি নেই। এতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষকদের কথা বলার জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় ক্যাম্পাসের কোনো বিষয়ে তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন অধ্যাপক ড. নাহিদ জেবা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের প্রতি নীল দলের শিক্ষকদের এক ধরনের শিথিলতা দেখা গেছে। তাদের কমিটি (নীল দল) শিক্ষক সমিতির চেয়েও আগে গঠিত। বিভিন্ন সময় কিছু শিক্ষক বিচ্ছিন্নভাবে এ সম্পর্কে বললেও সাংগঠনিকভাবে কোনো পদক্ষেপ তারা নেননি।’

কমিটি শিক্ষকদের সকল দাবি দাওয়া পূরণে সচেষ্ট দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাসা ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়েও আমরা শিক্ষকদের সকল ধরনের সুবিধার কথা ভেবেছি এবং কোনো অনিয়মও হয়নি। পাশাপাশি সিন্ডিকেটের জন্য শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়ে থাকে একাডেমিক কাউন্সিলে। এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলেও দীর্ঘদিন আলোচনা নেই।’

সারাবাংলা/এসএম/এনএস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর