‘আওয়ামী লীগ জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
তারা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে দেওয়া হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় রাজনীতির জন্য মহাবিপদ হবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পল্টন মোড়ে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে, জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল শুরু করে ১২ দলীয় জোট। মিছিলটি বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘এই সরকারের সময় একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকার আর সুযোগ নাই।’
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পাতানো ডামি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচন বর্জন করুন।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক রেখে এখন আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায়। ৭ তারিখ জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে।’
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য গত ১৫ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের নাশকতাকারী আখ্যা দিয়ে কারাগারে এবং দাঁড়ি-টুপিওয়ালাদের জঙ্গি বানিয়ে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে বাংলাদেশ ইজারা দিয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর হাসিনা সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে। আপনার ভোট বর্জন করবেন।’
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামি ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।
সারাবাংলা/এজেড/এমও