Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় ১ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০২

ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ফাইল ছবি

ঢাকা: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার। তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত রায়ের জন্য এদিন দিন ধার্য করেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও সৈয়দ হায়দার আলী।

পরে আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দুপুর ২টায় রায়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা আদালতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

এ সময় মামলার তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তারা।

এরপর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। সে থেকে দশম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

টপ নিউজ ড. ইউনুস নোবেল বিজয়ী শ্রম আইন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর