পাহাড়কাটা বন্ধে সতর্কবার্তা, ২৬ পাহাড়ে সাইনবোর্ড
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে চট্টগ্রামের ২৬ পাহাড়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে এ সব সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।
নগরীর বায়েজি-ফৌজদারহাট লিংক রোড ও জঙ্গল সলিমপুর সংলগ্ন এলাকা, পলিটেকনিকেল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা, ষোলশহর রেলস্টেশন, ফয়’সলেক, মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল, লেকসিটি আবাসিক এলাকা, বিজয় নগর, ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেট, কৈবল্যধাম হাউজিং স্টেট সংলগ্ন পাহাড়ে সাইরবোর্ড ঝোলানো হয়েছে।
এ ছাড়া আমিন জুট মিলস কলোনি সংলগ্ন টাংকির পাহাড়, উত্তর পাহাড়তলী জয়ন্তিকা পাহাড়, মুরগির ফার্ম, আকবর শাহ বেলতলী পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়, লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড়, হারুন খান সাহেবের পাহাড়, নাসিয়াঘোনা এলাকা, চিড়িয়াখানার পিছনের পাহাড়, মধু শাহ পাহাড়, জালালাবাদ সংলগ্ন পাহাড়, নাগিন পাহাড়, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন মীর মোহাম্মদ হাসানের পাহাড়, এম আর সিদ্দিকীর পাহাড়, মিয়ার পাহাড় ও বেড়া ফকিরের পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ২৬টি পাহাড়ের মধ্যে ১৬ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার এবং ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এসব পাহাড়ে ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে।
‘গত ৮ আগস্ট পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭তম সভায় পাহাড় রক্ষায় সাইনবোর্ড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশন আদেশেও পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এজন্য আমরা বিভিন্ন পাহাড়ে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি। এরপরও কেউ পাহাড় কেটে আদালতের আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাইনবোর্ড স্থাপনের সময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড় কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’
পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তারা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি জানান, পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান আছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মাজহারুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে