Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি স্বীকৃত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:০৫

ঢাকা: গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)‘র সম্মাননীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি রেফায়েত উল্ল্যা মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।

বিজ্ঞাপন

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট সংক্রান্ত সিপিডি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম প্রকাশিত তথ্য থেকে নেওয়া হয়েছে। সিপিডি‘র সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো গবেষণা করিনি। বরং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে তার আলোকে আমরা এটা প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে প্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে কোনো ধরনের প্রতিবাদ ইত্যাদি হয়নি। ফলে সাধারণভাবে এই অর্থ লোপাটের বিষয়টি স্বীকৃত।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যারা সিপিডি ব্যাংক খাতের লোপাট হওয়া বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলেছেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন, ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা কেবল আইসবার্গ বা একটি ছোট্ট অংশ। আসলে এটা আরও বেশি হবে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কিভাবে টাকা চলে গেছে। আর এই কারণেই বিভিন্ন ব্যাংকের বোর্ড পুর্নগঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। হয়তো অনেক সময় তা সফল হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন এই সরকার ক্ষমতায় আসে তখন দেশে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অনেকেই বলেন দেশে অর্থনীতির আকার বেড়েছে। আর এই কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। এটা নিয়ে এতো দুঃচিন্তার কি আছে? কিন্তু কথাটা হলো, আমাদের দেশের মতো একটা উন্নয়নশীল দেশে যে টাকাটা ঋণ খেলাপি হয়েছে। এই টাকাটা দেশের অর্থনীতিতে আসলে আমাদের অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখতে পারত। সরকারেরও রাজস্ব আদায়ের একটা সুযোগ থাকত। কারণ খেলাপি ঋণ থেকে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত আমরা যে ব্যাংক খাতে লোপাটের কথা বলেছি তা কোন সূত্র থেকে বলেছি, তার তালিকাও আমাদের কাছে আছে। সেখানে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা লোপাট হয়েছে তার তথ্য দেওয়া আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নাগরিক হিসাবে আমি বলব সমস্যা যখন হয়, এটাকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা হিসাবে না দেখে সমস্যাটার আদৌ যৌক্তিকতা আছে কিনা এবং কিভাবে আমরা এটা সমাধান করতে পারব। সেটা করা উচিত।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে আমার ফাইন্যান্সসিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট করলাম, ব্যাংকিং অ্যাক্ট করলাম, ডাইরেক্ট ট্যাক্স অ্যাক্ট করলাম। এগুলো কেন করলাম? বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আগে ছিল বলেই তো করলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিভিণ্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, নিচ্ছে না তাও বলব না।

#ব্যাংক খাতে ১৫ বছরে ৯২২৬১ কোটি টাকা লোপাট

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট সিপিডি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর