ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন এবং পুলিশকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তারা বলেন, স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নাই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরও বিপদে পড়বে। এর জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান সরকার।
নেতারা বলেন, অবিলম্বে সংবাদ সংসদ ভেঙে দিন। সকল দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩(৩) এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) পূর্ব ঘোষিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ তারা এসব কথা বলেন।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
গণতন্ত্র মঞ্চের অভিযোগ— সমাবেশ শেষে মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বলপূর্বক বাধা দেয় ও হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এর আগে, সমাবেশ স্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডির) মিছিলে কয়েক দফায় বাধা দেয় ও ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ।