Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারকে বেকাদায় ফেলতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিআইবি: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৭

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সম্পদ সংক্রান্ত যে অনুসন্ধানপত্র ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তৈরি করেছে তা দলকে বেকায়দায় ফেলতে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে টিআইবি পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড় গলা ছিল। প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল, পদ্মাসেতুতে তো দুর্নীতি হয়ইনি, দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। বিভিন্ন সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলো আসলে গবেষণা না, কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।

তিনি বলেন, ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারও তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে ১৫ কেজি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। চট্টগ্রামে এক হাজার টাকার নিচে দিনমুজর পাওয়া যায় না।

পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সবসময় বেড়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথা সত্য, মাঝে মাঝে ব্যবসায়িক চক্র, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট কোনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এভাবে তারা ফায়দা লোটে। ভারতের একটি পত্রিকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবর যখন ঢাকার অনলাইনেও প্রকাশিত হয়, তখন কাওরানবাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই?

এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী চক্র, অসাধু চক্র, যারা দেশে মাঝেমধ্যে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফালাভের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে, যথাযথ ব্যবস্থগ্রহণ করা হবে। সেটা আমরা করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি।

আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে আমদানি নির্ভর পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে জোর দেওয়া হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ভোগ্যপণ্য আছে, যেগুলো আমদানি নির্ভর। আমরা এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে চাই। একইসঙ্গে এগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই। দেখা যায়, কিছু ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের সময় কম দাম থাকে, আবার বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না, সেটা আমরা বাড়াতে চাই। এখন যেমন নানা মৌসুমে সব ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়। বলেন, আমরা ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই, পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগী, যাদের কারণে পণ্যমূল্য বাড়ে, তাদের সিন্ডিক্রেট ভেঙে দিতেই আমরা কাজ করছি। আগামীতে সরকার গঠন করলে সেটা করতে পারব।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

টিআইবি তথ্যমন্ত্রী প্রতিবেদন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর