Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতন কাঠামোর অঙ্গীকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৯

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করার অঙ্গীকার করে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার( ২৭ ডিসেম্বর) সকালে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থান করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ করার অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’স্লোগান নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করল আওয়ামী লীগ। এতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৫, ২০৩১ ৩ ২০৪১-এর সময়রেখার মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর ভিডিও ডকুমেন্টারি ‘জার্নি টু বাংলাদেশ’ প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য এবং ইশতেহার উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্যে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি। ২০৪১-সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে চার মূল স্তম্ভ হিসাবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে রয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ করার অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগান নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের অঙ্গীকারে সাশ্রয়ী, টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিগত, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে সরকার গঠনের সুযোগ কামনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ইশতেহারে জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,

নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, আনভিত্তিক, কল্যাণমুখী, উপাত্তনির্ভর, স্বয়ংক্রিয় এবং সমন্বিত দক্ষ স্মার্ট প্রশাসন গড়ার মাধ্যমে জনগণকে উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ।

ইশতেহারের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অংশে বলা আছে, জনগণকে উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে এরইমধ্যে সরকারি সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। কম সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে ও ভোগান্তি ছাড়া সেবা প্রদান করা যাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বপ্রণোদিতভাবে সেবা প্রদানের মনোভাব গড়ে উঠেছে।

প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বজ্ঞতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে সরকারের তথ্যসমূহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে মেধা, সততা, যোগ্যতা, কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, শৃঙ্খলাবোধ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

বৈশ্বিক সংকটের সঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়া জীবনযাত্রার মান সমন্বয়ের নিমিত্তে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে এবং গৃহঋণ বাবদ সরল সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

ইশতেহারের অঙ্গীকারে আছে, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত, দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে।

নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অধিকতর তৎপরতা বাড়িয়ে দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সর্বপ্রকার হয়রানির অবসান ঘটানোর কাজ চলমান থাকবে।

দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করা হবে।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে। ওই ইশতেহারে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই ইশতেহারের অঙ্গীকারে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের স্লোগান ছিল– ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অগ্রাধিকার হিসেবে ১০টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের স্লোগান ছিল– ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। এতে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে ‘নিরাপদ বদ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয়।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর